সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত
যারা সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম জানতে চান তাদের জন্য এই লেখাটি নিয়ে এসেছি। আমরা সবাই জানি যে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সকল মুসলমানের জন্য ফরজ। তবে প্রতিদিনের এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও কিছু বিশেষ দোয়া রয়েছে যেগুলো পাঠ করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় এবং এসব নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া করা যায়। আর এই বিশেষ নামাযের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সালাতুল তাসবীহ।
এ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। কেননা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল নামাযের মধ্যে বলেছেনঃ অতএব, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী থেকে স্পষ্ট যে, সালাতুল তাসবীহ নামাযের ফজিলত অনেক বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন সালাতুল তাসবীহ নামাজের নিয়ম ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আমরা ইতিমধ্যে
সালাতুল তাজবিহ নামাজ সম্পর্কে কিছুটা জানি। কিন্তু যখন আমরা এই নামাজগুলো সম্পর্কে
জানি, তখন এই নামাজগুলো পড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়
এবং আমরা সালাতুল তাসবীহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আপনাদের জন্য আমরা
নিম্নে সালাতুল তাজবীহ নামাজের নিয়ম উল্লেখ করছি-
সালাতুল তাজবিহ
নামাজ চার রাকাত। আর এই নামাযকে সুন্নাত হিসেবে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। তাছাড়া এই নামাজ
অন্যান্য নামাজ থেকে একটু আলাদা। কেননা এ নামাজে বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়। আর এই বিশেষ
দোয়াটি মোট চার রাকাত নামাজে ৩০০ বার পড়তে হয়।
সালাতুল তাজবিহ নামাজে যে বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয় তা হলো সুবহানাল্লাহি
ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
- তাজবিহ নামাজের
নিয়ম-
প্রথমে আপনাকে
অজু করতে হবে এবং তারের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে।
- তারপর সালাতুল তাজবীহ নামাজের নিয়ত করতে হবে।
- সানা সালাতে তাজবিহ দোআ ১৫ বার পড়তে হবে।
- তারপর সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এবং কুরআনের যে কোন একটি সূরা সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে। রুকুতে যাওয়ার আগে ১০ বার ছালাত তাজবিহ দোআ পড়তে হয়।
- তারপর রুকুতে গিয়ে রুকু দোআ পড়তে হবে এবং সেই রুকু থাকা অবস্থায় ১০ বার ছালাত তাজবীহ দোআ পড়তে হবে।
- রুকু থেকে উঠার সময় ছোট দোআ পড়তে হবে। উক্ত দো‘আ পাঠের পর ১০ বার সালাতুল তাজবীহ দোআ পড়তে হবে।
- এখন আপনাকে সিজদা করতে হবে এবং সিজদা করার সময় আপনাকে 10 বার সালাতুল তাজবিহ দোআ পড়তে হবে।
- সিজদা থেকে উঠার পর ছালাত তাজবিহ দোআ ১০ বার পড়তে হবে।
- এভাবে আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর ১০ বার সালাতুল তাজবীহ পড়তে হয়।
এভাবে দ্বিতীয়
রাকাত, তৃতীয় রাকাত ও চতুর্থ রাকাত আদায় করতে হবে। ছালাত তাজবিহ দোআ
প্রতি রাকাতে ৭৫ বার পড়তে হবে। অতঃপর তাজবিহ দোআটি মোট চার রাকাতে ৩০০ বার পড়বে।
- সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত
সালাতুল তাজবীহ
নামাযের আগে এই নামাযের নিয়ত করতে হবে। আর সেই উদ্দেশ্য হল-
"নাওয়াইতু আন উসলিলা লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাকা'আতাই সালাতিল তাসবি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শরিফতি আল্লাহু আকবার।"
যাইহোক, আপনি যদি চান তবে আপনি সবসময় মনে রাখতে পারেন যে এই মুহূর্তে আপনাকে যা পড়তে হবে তা বাধ্যতামূলক নয়।
- সালাতুল তাসবিহ
নামাজ
আমরা ইতিমধ্যে
জানি যে একজনকে ৩০০ বার সালাত-ই-তাজবীহ নামাজ পড়তে হবে এবং আমি নীচে এই দোয়াটি
দিচ্ছি। যাতে আমি এই দোয়াটি বলি,
আপনি সহজেই এখান থেকে গোহাটি সংগ্রহ করে মুখস্থ করে তাজবিহ নামাজ
আদায় করতে পারেন।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।
- সালাতুল তাসবিহ
নামাজের ফজিলত
সালাতুল তাজবীহ
নামাজের ফজিলত ছিল অপরিসীম। আমি গিয়েছিলাম কারণ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচা হজরত
আব্বাস (রা.) তালাকে এই দোয়ার কথা বলেছিলেন,
তাই বোঝা যায়
যে, এ নামাজের ফজিলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এসব নামাজের মাধ্যমে
আল্লাহ তায়ালা জীবনের ছোট-বড়,
ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। তাই আমাদের সকলের
উচিত দিনে একবার বা সপ্তাহে একবার বা মাসে একবার বা বছরে একবার এই সালাত আদায় করা।
আমরা যদি তা না করতে পারি তাহলে সারা জীবনে একবার হলেও কেন এই প্রার্থনা করব?
- উপসংহার:
আমরা আশা করি যে আপনি এই নিবন্ধটি থেকে সালাত তাসবীহ নামাজের নিয়মগুলি শিখেছেন এবং আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এই নামাজগুলি মুমিনদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেরি না করে এই নামাযের ফযীলত জেনে সবাইকে নিয়মিত এই নামায পড়া উচিৎ এবং যারা এখন পর্যন্ত এই নামায সম্পর্কে জানেন না তারা নিজেরা এই নম্বরটি জেনে অন্যকে জানাতে চেষ্টা করবেন। তবে এই ধরনের অন্যান্য নামাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url