ফায়ার সার্ভিস নম্বর - সকল জেলার ফায়ার সার্ভিস নম্বর

আমরা কিন্তু অনেকেই ফায়ার সার্ভিস নম্বর জানিনা। কিন্তু,আমাদের সকলের ফায়ার সার্ভিস নম্বরটি সংগ্রহ করে রাখা উচ। কেননা, যেকোনো সময় যেকোন বিপদ আসতে পারে।তাই, আমরা আজকে বাংলাদেশের সকল বিভাগ জেলা ও উপজেলার সকল ফায়ার সার্ভিস নম্বর জেনে নিব । বিশেষ করে আমাদের সকলের ফায়ার সার্ভিস হট লাইন নাম্বারটি জানা উচিত (16163)
ফায়ার সার্ভিস নম্বর - সকল জেলার ফায়ার সার্ভিস নম্বর

গোটা বাংলাদেশের সকল ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক ইউনিটগুলো কাজ করতেছে তাদের সকলের ফোন নম্বর ও অফিসের নম্বরগুলো আমরা জেনে নেব।

পেজ সূচিপত্র ফায়ার সার্ভিস নম্বর

বাংলাদেশের সকল ফায়ার স্টেশন/অফিসের যোগাযোগ নম্বর

ক্রঃ নং

বিভাগের নাম

ফায়ার স্টেশন/অফিসের যোগাযোগ নম্বর

০১

ঢাকা

ডাউনলোড 

০২

চট্টগ্রাম

ডাউনলোড 

০৩

খুলনা

ডাউনলোড

০৪

বরিশাল

ডাউনলোড

০৫

রাজশাহী

ডাউনলোড

০৬

সিলেট

ডাউনলোড

০৭

রংপুর

ডাউনলোড

০৮

ময়মনসিংহ

ডাউনলোড

ফায়ার সার্ভিস এর কাজ কি

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক দায়িত্বগুলির মধ্যে সাধারণত অন্তর্ভুক্ত থাকে:

আগুন দমন: অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুনে সাড়া দেয় এবং সেগুলি নিভানোর জন্য কাজ করে। তারা বিভিন্ন সরঞ্জাম যেমন পায়ের পাতার মোজাবিশেষ, জলের পাম্প এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে এবং নিরাপদে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

উদ্ধার অভিযান: অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে মানুষ এবং প্রাণীদের উদ্ধার করে, যেমন দালান পোড়ানো, যানবাহন দুর্ঘটনা বা বন্যা এবং জল উদ্ধারের মতো জল-সম্পর্কিত জরুরী অবস্থা থেকে।

ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসেস (ইএমএস): অনেক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। অগ্নিনির্বাপকদের প্রায়ই ইমার্জেন্সি মেডিকেল টেকনিশিয়ান (EMTs) হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্যারামেডিকদের পাশাপাশি চিকিৎসা জরুরী পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে পারে।

বিপজ্জনক পদার্থের প্রতিক্রিয়া: ফায়ার সার্ভিসগুলি রাসায়নিক ছিটা, ফুটো এবং দুর্ঘটনা সহ বিপজ্জনক পদার্থ জড়িত ঘটনাগুলি পরিচালনা করতে সজ্জিত।

জনশিক্ষা: অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা জনসাধারণকে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষিত করে, ফায়ার ড্রিল পরিচালনা করে এবং কীভাবে আগুন প্রতিরোধ করা যায় এবং জরুরী পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

অগ্নি প্রতিরোধ: দমকল বিভাগগুলি বিল্ডিংগুলি পরিদর্শন করে এবং নিরাপত্তা বিধিগুলির সাথে সম্মতি নিশ্চিত করতে ফায়ার কোডগুলি প্রয়োগ করে৷ ভবিষ্যতের ঘটনা এড়াতে তারা আগুনের কারণগুলিও তদন্ত করে।

প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি: অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা অগ্নিনির্বাপক কৌশল, সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা পদ্ধতির সাথে আপ-টু-ডেট থাকার জন্য চলমান প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তারা সর্বদা জরুরী পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সাড়া দিতে প্রস্তুত।

কমিউনিটি আউটরিচ: অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা প্রায়শই তাদের সম্প্রদায়ের সাথে ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ এবং প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে জড়িত থাকে যার লক্ষ্য অগ্নি নিরাপত্তা প্রচার করা এবং জনসাধারণের সাথে আস্থা তৈরি করা।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে একটি ফায়ার সার্ভিসের নির্দিষ্ট কাজ এবং দায়িত্বগুলি বিভাগের আকার, অঞ্চলের বিপদ এবং উপলব্ধ সংস্থানগুলির উপর নির্ভর করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তিত হতে পারে।

ফায়ার সার্ভিস এর উদ্দেশ্য

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (বাংলাদেশ দমকল বাহিনী ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। প্রথম সাড়া প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে এ বিভাগের কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরোধ, উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে প্রেরণ ও দেশী-বিদেশী ভিআইপিদের অগ্নি নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী সংস্থা হিসেবে সব ধরনের প্রাকৃতিক ও মানবিক দুর্ঘটনার উদ্ধারকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। তৎকালীন বৃটিশ সরকার অবিভক্ত ভারতে ১৯৩৯-৪০ সালে দমকল পরিষেবা সৃষ্টি করে। বিভক্তিকালে আঞ্চলিক পর্যায়ে কলকাতা শহরের জন্য কলকাতা ফায়ার সার্ভিস এবং অবিভক্ত বাংলায় বাংলার জন্য (কলকাতা বাদে) বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সৃষ্টি করা হয়। ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চলের দমকল পরিষেবাকে পূর্ব পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিস নামে অভিহিত করা হয়। 

অনুরূপভাবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ভারতে বে-সামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রাথমিক পর্যায়ে Air Raid Precautions (ARP) এবং পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫১ সনে আইনি প্রক্রিয়ায় সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সৃজিত হয়। কর্মব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন রেসকিউ বিভাগ নামে ১টি বিভাগ সৃষ্টি হয়। ১৯৮১সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্ধার পরিদপ্তর- এই তিনটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে বর্তমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটি গঠিত হয়।

গঠিত

১৯৮১; ৪২ বছর আগে

পূর্ব সংস্থা

    ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর,সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ উদ্ধার পরিদপ্তর

ধরন

অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার পরিসেবা

অধিক্ষেত্র

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সদর দপ্তর

৩৮-৪৬ কাজী আলাউদ্দিন সড়ক, ঢাকা-১০০০

নীতিবাক্য

গতি, সেবা, ত্যাগ

কর্মী

১৩,৩১৬ জন (০১/০৪/২০২১ খ্রিঃ পর্যন্ত)

দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী

     আসাদুজ্জামান খান, এমপি

সংস্থা নির্বাহী

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, জি, এমফিল

ওয়েবসাইট

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

শেষ কথা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপার্টমেন্টে যারা কাজ করে তাদেরকে আমাদের সম্মান দেখানো উচ। কারণ তারা আমাদের সবচাইতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে কাজে লাগে। আমরা সকলেই তাদের কে সম্মানিত চোখে দেখবো কারণ তারা আছে বলে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি। তাদের জীবনকে বাজি রেখে তারা আমাদেরকে সাহায্য করে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url