নামাযের মাকরুহ সমূহ
কিছু কিছু কাজ আছে যা ঘটলে নামায ভঙ্গ হয় না; কিন্তু নামাযের সৌন্দর্য অনেকাংশে কমে যায়। এ বিষয়গুলোকে মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ বলা হয়। মাকরূহ হলে নামায পুনরায় আদায় করতে হয় না। তবে নামায কে পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে হলে এ কাজগুলো থেকে বেঁচে থাকা একান্ত আবশ্যক।
নিম্নে মাকরূহ সমূহ আলোকপাত করা হলো-
০১. নামাযের মধ্যে মুখ ঢেকে রাখা। ০২. নামাযের মধ্যে চক্ষু বন্ধ করে রাখা। (তবে নামাযের মধ্যে ধ্যান আসার জন্য হলে মাকরূহ হবে না) ০৩. মাথা কিংবা কাঁধের উপর কাপড় রেখে তার দু’প্রান্তদেশ সোজা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখা। ০৪. ধুলো বালি লাগার ভয়ে কাপড়কে গুটিয়ে নেয়া। ০৫. বিনা কারণে খালি মাথায় নামায আদায় করা। ০৬. নামাযের মধ্যে আঙুল মটকানো। ০৭. মাথার মধ্যস্থান খালি রেখে টুপি বা পাগড়ি পড়া। ০৮. কাপড় বা শরীর নিয়ে খেলা করা। ০৯. ঘাড় ফিরিয়ে ডানে বামে তাকানো। (তবে সিনাহ ঘুরে গেলে নামায ভেঙে যাবে) ১০. শরীর আড়মোড়া দেয়া। ১১. জামার বোতাম উন্মুক্ত রাখা। ১২. নামায আদায়রত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো।১৩. ব্যক্তির জন্য আমাদের স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া (ইমাম ব্যতীত)।
১৪. খাবার রেখে ক্ষুধার্ত অবস্থায় নামাজ আদায় করা।
আরো পড়ুন:নামাজ ভঙ্গের কারন সমূহ
১৫. হাই তুলে মুখে হাত না দিয়ে হা করে থাকা।
১৬. ঘুমঘুম ভাব নিয়ে নামাজ আদায় করা।
১৭. কাঁচা,পেঁয়াজ রসুন খেয়ে নামাজ আদায়।
১৮. শরীরে দুর্গন্ধ নিয়ে নামাজ আদায় করা।
১৯. তাশাহুদে চতুষ্পদ জন্তুর মত বসা।
২০. নামাজরত অবস্থায় থুথু নিক্ষেপ করলে।
২১. অকারণে চুলে বা মুখে হাত দেওয়া।
২২. হাত বিছিয়ে সিজদা করা।
২৩. ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া।
২৪. নামাজরত অবস্থায় আঙুল ফোটানো।
২৫. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে না দাঁড়ানো।
২৬. তাশাহুদে সোজা হয়ে না বসা।
২৭. সিজদা দিতে যাওয়ার সময় সিজদার স্থানের
ধুলো পরিষ্কার করা।
২৮. শার্টের হাতা গুটিয়ে রাখা।
২৯. অহেতুক একটু পরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানো।
৩০. নামাজরত অবস্থায় মশা-মাছি তাড়ানো।
ইনশাআল্লাহ,আমরা নামাজ আদায়ের সময় পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করব, নামাজের মাকরুহ সময় এড়িয়ে চলব।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url