নামায ভঙ্গের কারণ সমূহ

নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য নামাজের কিছু নিয়ম-কানুন,আদব যথাযথভাবে মেনে নামায আদায় করতে হয়।নিয়ম-কানুনের কিছু ব্যতিক্রম ঘটলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। যে সকল কারণে নামায ভঙ্গ হতে পারে এই আর্টিকেলটিতে আজ আমরা সে সম্পর্কেই জানব।

নামায-ভঙ্গের-কারণ-সমূহ


নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ-


০১. নামায আদায়রত অবস্থায় কথা বললে। 

০২. নামাযের মধ্যে স্বেচ্ছায় কিংবা ভুলে পানাহার করলে।

০৩. বায়ু,মল-মূত্র ত্যাগ করলে ।

০৪. উটের গোশত খেয়ে পুনরায় অযু না করলে।

০৫. প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত নড়াচড়া করলে। 

০৬. রুকু,সেজদা বা যে কোন একটা রোকন বাদ পড়লে। 

০৭. ইচ্ছাকৃতভাবে রোকন কম বেশি করলে। 

০৮. কোরআন তেলাওয়াতের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ পরিবর্তন বা পরিমার্জন করলে। 

০৯. নামাযে থাকা অবস্থায় কাউকে সালাম দিলে।
 

১০. নামাজরত অবস্থায় কারো সালামের উত্তর দিলে। 

১১. ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার কাশি দিলে। 
 
১২. অনর্থক ভাবে কুরআন পড়লে।  

১৩. নিষ্প্রয়োজনে কান্নাকাটি করলে। শাস্তির ভয়ে যদি নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলে তবে নামায ভঙ্গ হবে না।  

১৪. নামাযের মধ্যে উচ্চ স্বরে হাসলে।  

১৫. নামাযের মধ্যে পার্থিব কোন কিছু প্রার্থনা করলে।

১৬. নামাযের কোন ফরয কাজ পরিত্যাগ করলে।  

১৭. সতরের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ খুলে গেলে, ইচ্ছাকৃতভাবে সতর না ঢাকলে।

১৮. নামাযের মধ্যে কুরআন শরীফ দেখে পড়লে।
তবে, অনেক আলেমরা এটা জায়েজ বলেছেন।

১৯. কিবলার দিক হতে অন্যদিকে  ঘুরে গেলে(চলন্ত গাড়িতে থাকা অবস্থায় দিক পরিবর্তন হলে নামাজ ভঙ্গ হবে না)।

২০. কারো সুসংবাদ শুনে সুবহানআল্লাহ বা আলহামদুলিল্লাহ বললে।

২১. বিনা অযুতে নামায আদায় করলে।

২২. কোন কাজ বেশি সময ধরে করলে। 

২৩. কোন হাঁচি দাতার আলহামদুলিল্লাহর উত্তরে ইয়ার হামুকাল্লাহ বললে।

২৪. ইচ্ছাকৃতভাবে নামাযের মধ্যে কুরআন শরীফ ভুল পড়লে।

২৫. নাপাক জায়গায় সিজদা করলে।

২৬. নামাযের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে।

২৭. সিজদারত অবস্থায় দু’পা ভূমি থেকে উঠিয়ে ফেললে।

২৮. নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামায পড়লে।

২৯. নামাযের মধ্যে ছোট শিশুকে দূরে ঠেলে দিলে অথবা ছোট শিশুকে কোলে তুলে দুধ পান করালে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

৩০. নামাযের মধ্যে চুল বাঁধলে অথবা কোন কাজ করলে কিংবা তাসবীহ পরিমাণ দেরি করলে।  

৩০. পকেটে নাপাক বস্ত্র থাকলে।

৩১. ইমামের নামায নষ্ট হলে যদি ইমাম না বলে বের হয়ে যান, তাহলে মুক্তাদির নামায নষ্ট হবে।

৩২. মুক্তাদি ব্যতীত অন্য লোকের লোকমা গ্রহণ করলে।  

৩৩. ইমাম লোকমা গ্রহণ না করলে ইমাম ও মুক্তাদির সকলের সালাত নষ্ট হবে।

৩৪. মুক্তাদি কোন রোকন  ইমামের পূর্বেই আদায় করলে।

ইতোমধ্যেই আমরা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ সম্পর্কে জানলাম।
ইনশাআল্লাহ, আমরা নামাজ ভঙ্গের কারণ গুলো থেকে বেঁচে থাকবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url