জানাজা নামাজের নিয়ম ও দোয়া

একজন মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার জানাজা দেওয়া অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়‌। প্রকৃতপক্ষে,জানাজার নামাজের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করা হয় । আজকের আর্টিকেলটিতে জানাজা নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানব,ইনশাআল্লাহ।


জানাজা-নামাজের-নিয়ম-ও-দোয়া

"নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর জন্যই আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য না আছে কোন অভিভাবক, না আছে কোন সাহায্যকারী।"[সূরা তওবা: ১১৬]


জানাজার নামাজ কি ফরজ?

وَهُوَ القاهِرُ فَوقَ عِبادِهِ وَيُرسِلُ عَلَيكُم حَفَظَةً حَتّى إِذا جاءَ أَحَدَكُمُ المَوتُ تَوَفَّتهُ رُسُلُنا وَهُم لا يُفَرِّطونَ

বাংলা অর্থ:"আর তিনিই নিজ বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান এবং তোমাদের উপর প্রেরণ করেন হিফাযতকারীদেরকে। অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না।"

[সূরা আন আম-৬১]

মৃত্যু অনিবার্য। আমাদের প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হবে। মৃত্যুর পর একজন মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন পরানো,জানাজা, দাফন আবশ্যক। জানাজা বলতে সাধারণত আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য আদায় কৃত নামাজকে বুঝে থাকি। জানাজার নামাজের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয়। 

আমাদের অনেকের মনে প্রায় ঘোরাফেরা করে জানাজার নামাজ কি ফরজ?জানাজার নামাজ আদায় না করলে কি গুনাহ হবে? জানাজার নামাজ হচ্ছে আমাদের জন্য ফরজ না তবে ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ, মৃত ব্যক্তির জানাযায় সমাজের মধ্য থেকে একজন উপস্থিত হওয়া বা শরীক হওয়া বাধ্যতামূলক। সমাজের পক্ষ থেকে একজন জানাজার অংশগ্রহণ করলে সমাজের সকলের হক আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু

"নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর জন্যই আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য না আছে কোন অভিভাবক, না আছে কোন সাহায্যকারী।"[সূরা তওবা: ১১৬]


জানাজার নামাজ কি ফরজ?


وَهُوَ القاهِرُ فَوقَ عِبادِهِ وَيُرسِلُ عَلَيكُم حَفَظَةً حَتّى إِذا جاءَ أَحَدَكُمُ المَوتُ تَوَفَّتهُ رُسُلُنا وَهُم لا يُفَرِّطونَ

বাংলা অর্থ:"আর তিনিই নিজ বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান এবং তোমাদের উপর প্রেরণ করেন হিফাযতকারীদেরকে। অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না।"

[সূরা আন আম-৬১]

মৃত্যু অনিবার্য। আমাদের প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হবে। মৃত্যুর পর একজন মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন পরানো,জানাজা, দাফন আবশ্যক। জানাজা বলতে সাধারণত আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য আদায় কৃত নামাজকে বুঝে থাকি। জানাজার নামাজের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয়। 

আমাদের অনেকের মনে প্রায় ঘোরাফেরা করে জানাজার নামাজ কি ফরজ?জানাজার নামাজ আদায় না করলে কি গুনাহ হবে? জানাজার নামাজ হচ্ছে আমাদের জন্য ফরজ না তবে ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ, মৃত ব্যক্তির জানাযায় সমাজের মধ্য থেকে একজন উপস্থিত হওয়া বা শরীক হওয়া বাধ্যতামূলক। সমাজের পক্ষ থেকে একজন জানাজার অংশগ্রহণ করলে সমাজের সকলের হক আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু,জানাযায় যদি সমাজের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না হয় তাহলে প্রত্যেকেই গুনাহগার হবে।


জানাজার নামাজের গুরুত্ব:

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,"যে ব্যক্তি জানাযার সালাত আদায় করা পর্যন্ত লাশের সাথে থাকে, তাকে এক ক্বীরাত সাওয়াব দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত লাশের সাথে উপস্থিত থাকে, তাকে দু’ ক্বীরাত সাওয়াব দান করা হবে। কেউ জিজ্ঞেস করল, দু’ ক্বীরাত বলতে কি পরিমাণ বুঝায়? তিনি বললেন, দু’টি বিরাট পাহাড় সমতুল্য।

আবুত্‌ ত্বহির বর্ণিত হাদীস এ পর্যন্ত শেষ হল। বাকী দু’জন বর্ণনাকারী আরো বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু শিহাব বলেন, সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ বলেছেন এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ) জানাযার সালাত আদায় করতে চলে যেতেন। যখন তাঁর নিকট আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস পৌঁছল তখন তিনি বললেন,"আমরা তো বহু ক্বীরাত বরবাদ করে দিয়েছি।" (ই.ফা. ২০৫৭, ই.সে. ২০৬২)

[ সহিহ মুসলিম:হাদিস-২০৭৮]


ইব্‌নু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতটি বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন-"

১. জানাযার অনুগমন করতে

২. রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ-খবর নিতে

৩. দা'ওয়াত দাতার দা'ওয়াত গ্রহণ করতে

৪. মাযলূমকে সাহায্য করতে

৫. কসম হতে দায়মুক্ত করতে

৬. সালামের জবাব দিতে 

৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুষ্ট করতে।"

[সহিহ বুখারী:হাদিস-১২৩৯]


আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত-"কুদায়দ’ অথবা ‘উসকান’ নামক স্থানে তার একটি পুত্র সন্তান মারা গেল। তিনি আমাকে বললেন, হে কুরায়ব! দেখ কিছু লোক একত্রিত হয়েছে কিনা? আমি বের হয়ে দেখলাম কিছু একত্রিত হয়েছে। আমি তাঁকে খবর দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বল তাদের সংখ্যা কি চল্লিশ হবে? বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে লাশ বের করে নাও। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: কোন মুসলিম মারা গেলে, তার জানাযায় যদি এমন চল্লিশজন দাঁড়িয়ে যায় যারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে না তবে মহান আল্লাহর তার অনুকূলে তাদের প্রার্থনা কবূল করেন।"

[সহিহ মুসলিম:হাদিস-২০৮৮]


জানাজা নামাজের ফরজ

আল্লাহু আকবার তাকবীর চার বার বলা।

প্রতি তাকবীর এক রাকাতের স্থলাভিষিক্ত। জানাজার নামাজে কোন রুকু,সেজদা নেই।

জানাজার নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া। ইসলামে জানাজার নামাজ বসে পড়ার কোন বৈধতা নেই এবং কোন কিছুর উপর দাঁড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। 


জানাজা নামাজের সুন্নত 

জানাজার নামাজ তিন কাতার বা বিজোড় সংখ্যায় আদায় করা সুন্নত। তবে বাধ্যতামূলক না। তিন কাতারে বা বেজোড় সংখ্যায় পড়তে হবে এরকম কত বাধ্যতামূলক হাদিস নেই। তবে তা উত্তম।

হামদ ও সানা পড়া 

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করা। 

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা। 


জানাজা নামাজ পড়ার নিয়ম

জানাজার নামাজ পড়ার জন্য সর্বপ্রথম নিয়ত করতে হবে। নিয়ত মনে মনে পড়া সুন্নাত এবং ফরজ। কোন নির্দিষ্ট নিয়তের দোয়া পড়া বাধ্যতামূলক না। নিয়তে কোন দোয়া হাদিস বা কোরআনের দলিলে পাওয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ বিদআত এবং আমাদের সৃষ্টি। জানাজা' নামাজে দাঁড়িয়ে মনে মনে সংকল্প করা যে'আমি জানাজার নামাজ আল্লাহ আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আদায় করছি বা চার তাকবীরের সহিত আদায় করছি এটাই নিয়ত'।

১. নিয়ত করার পর তাকবীর তাহরিমা আল্লাহু আকবার(প্রথম তাকবীর) পাঠ করে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে বুকে বাঁধতে হবে। এরপর ছানা পাঠ করতে হবে।

২. এরপর দ্বিতীয় তাকবীর দিয়ে (হাত বাধা অবস্থায় থাকবে, কান পর্যন্ত উঠানো যাবে না) দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।

৩. তৃতীয় তাকবীর (হাত পূর্বের ন্যায় বাঁধা অবস্থায় থাকবে) দিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া পাঠ করতে হবে।

৪. চতুর্থ তাকবীর দেওয়ার পর(হাত বাঁধা অবস্থায় থাকবে) ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে জানাজার নামাজ শেষ করতে হবে।


ছানা:


سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ-

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া ঝাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। আপনি সব ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পবিত্র। আপনার নাম মঙ্গল ও বরকতপূর্ণ, আপনার মহত্ত্ব অতি বিরাট, আপনার প্রশংসা অতি মহত্ত্বপূর্ণ এবং একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো প্রভু নেই।



দুরূদ পাঠ:


 عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ।

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করেন, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান করুক, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত।’
রেফারেন্স:[নাসাঈ-১২৯১]


জানাযার দোয়া:


لَّهُمَّ اغْفِرْلحَيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الاْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

বাংলা উচ্চারণ : 
আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যেনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িইবিনা ও ছাগীরিনা ও কাবীরিনা ও যাকারিনা ও উনছানা। আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলামী ওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ ফাহু আলাল ঈমান বেরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহীমিন।

বাংলা অর্থ : 'হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত এবং মৃতদের, উপস্থিত এবং গায়েবদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন তাকে ইমানের সঙ্গেই মৃত্যু দিন। হে আল্লাহ! জানাজার সাওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না এবং এর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।’
রেফারেন্স-[আবু দাউদ-৩২০১,
তিরমিজি-১০২৪]


আর জানাজা অপ্রাপ্ত বয়স্ক কারো হলে উক্ত দোয়ার পরিবর্তে এই দোয়া পড়বে :

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا اَجْرً ا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفِّعًا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারাতাও ওয়াজ আলহু লানা আজরাও ওয়াজ আলহু লানা শাফিআও ওয়া মুশাফফাআ।

অর্থ: হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক লাশ মেয়ের হলে ‘হু’ (هُ) স্থানে ‘হা’ (هَا) বলতে হবে।

লেখকের কিছু কথা


মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তার কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে। এবং আমাদের যাবতীয় কাজের হিসাব দিতে হবে। মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের ইহকালীন জীবনের শেষ এবং অনন্ত জীবনের শুরু। আমরা সবাই জানাজার নামাজ ফরজে কেফাইয়া হলেও আদায় করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমরা অনেক সওয়াবের মালিক হব এবং আমাদের মৃত্যুর কথা স্মরণ হবে। আমাদের মৃত্যুর কথা স্মরণ হলে আমরা পাপ কাজ থেকে দূরে থাকবো, আখিরাতকে গুরুত্ব দেব। দুই দিন আগে আর পরে আমরা সবাই কিন্তু কবরের বাসিন্দা হব। সুতরাং,আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করব, তাদের কোন গীবত করবো না, তাদের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা করে দেব। তাহলে আল্লাহতালা আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। 
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ঈমানের সহিত চলার তৌফিক দান করুক, আমীন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url