দুই রাকাত নামাযের নিয়ম

وَأَقيمُوا الصَّلاةَ وَآتُوا الزَّكاةَ وَاركَعوا مَعَ الرّاكِعينَ

অর্থ:আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।

[সূরা বাকারা: ৪৩]

দুই-রাকাত-নামাযের-নিয়ম
সকল মুসলিমদের জন্য নামাজ ফরজ। কাফের ও মুসলিমদের মধ্যে নামাজ হচ্ছে পার্থক্যকারী। আল্লাহ সুবাহানাতালা নামাজ কায়েম করতে বলেছেন। ফজর ,যোহর, আসর, মাগরিব,এশা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত আমাদের নামাজ আদায় করতে হয়। যোহর,আসর এবং এশা এ তিন ওয়াক্তে চার রাকাত করে ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।

দুই রাকাত ফরজ/সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়ম 

 •নামাযের জায়গায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।

• যে ওয়াক্তের যে নামায আদায় করা হচ্ছে, সে ওয়াক্তের সেই নামাযের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলতে হবে। এটা বলার সময় দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে দু’হাত নাভীর উপর বাঁধতে হবে আর নারীদের ক্ষেত্রে দু’হাত বুকের উপর বাঁধতে হবে। • প্রথমে সানা (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা....) পাঠ করতে হবে। • এরপর সুরা ফাতিহা (আলহামদু শরীফ) পাঠ করে আমীন বলে আবার বিসমিল্লাহি .... পাঠ করে কুরআনের যে কোন সূরা অথবা সূরার অংশ বিশেষ পাঠ করতে হবে। • অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে এবং রুকুতে গিয়ে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ “সুবহানা রাব্বিআল আজীম” পাঠ করতে হবে। তাসবীহ পাট শেষে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতে হবে। • অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় গিয়ে কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা) পড়ে আল্লাহু আকবার বলে সোজা হয়ে বসতে হবে। একইভাবে পরপর দুইবার সিজদাহ করতে হবে। • এরপর দাঁড়িয়ে আগের মতো তাসমীহ (বিসমিল্লাহ) পাঠ করে সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে আমীন বলে আবার বিসমিল্লাহ পাঠ করে কুরআনের যে কোন সূরা বা অংশ বিশেষ পাঠ করে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে গিয়ে আগের মত তাসবীহ পাঠ করে দাঁড়াতে হবে। • এরপর দাঁড়িয়ে তাহমীদ (সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ) পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে পূর্বের মত তাসবীহ পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে সোজা হয়ে বসতে হবে। • আবার আগের মত আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে তাসবীহ পাঠ শেষে আল্লাহু আকবার বলে উঠে বসতে হবে। • বসার পর আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে হবে। আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর দরূদ শরীফ, দোয়া মাসূরা পাঠ করে ডানে বামে সালাম ফিরায়ে নামায শেষ করতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফরজ নামাজ যদি মসজিদে আদায় করেন, তাহলে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম সাহেব যা তেলাওয়াত করবে তা মন দিয়ে শ্রবণ করতে হবে। অনেক মহাদ্দিস এবং আলেমগণ ফতোয়া দিয়েছেন যে, ইমাম সাহেব এর পিছনে মুসল্লির সুরা ফাতেহা পাঠ করা জরুরী না।


আল্লাহ তাআলা আমাদের হেদায়েত দান করুক এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক,আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url