কবিতার বিখ্যাত উক্তি

আমরা কমবেশি সবাই কবিতা পড়তে ভালোবাসি। কবিতার প্রতি আমাদের রয়েছে গভীর অনুরাগ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমরা কবিতার বিখ্যাত উক্তিগুলো শেয়ার করতে চাই, যা আমাদের হৃদয়কে  স্পর্শ করে। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা কবিতার কিছু বিখ্যাত উক্তিগুলো তুলে ধরেছি। যা আপনার হৃদয়কে নাড়া দেবে।
কবিতার-বিখ্যাত-উক্তি


হেলাল হাফিজ

 ১. 
"বুকের সীমান্ত বন্ধ তুমিই করেছো
 খুলে রেখেছিলাম অর্গল,  
আমার যুগল চোখে ছিলো মানবিক খেলা ,
তুমি শুধু দেখেছো অনল" 

২.

  "ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে ,
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।  

৩.
"যদি কোনোদিন আসে আবার দুর্দিন,  
যেদিন ফুরাবে প্রেম অথবা হবে না প্রেম মানুষে মানুষে  
ভেঙে সেই কালো কারাগার  
আবার প্রণয় হবে মারণাস্ত্র তোমার আমার"

৪. 

"আমাকে দুঃখের শ্লোক কে শোনাবে?  
কে দেখাবে আমাকে দুঃখের চিহ্ন কী এমন,  
দুঃখ তো আমার সেই জন্ম থেকে জীবনের  
একমাত্র মৌলিক কাহিনী"

৫.

 "আমার শৈশব বলে কিছু নেই  
আমার কৈশোর বলে কিছু নেই,  
আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।  
দুঃখ তো আমার হাত–হাতের আঙুন–আঙুলের নখ  
দুঃখের নিখুঁত চিত্র এ কবির আপাদমস্তক"

.

"আমার দুঃখ আছে,
কিন্তু আমি দুখী নই,  
দুঃখ তো সুখের মতো নীচ নয়,
 যে আমাকে দুঃখ দেবে" 

৭. 

"আমার একেকটি দুঃখ
একেকটি দেশলাই কাঠির মতন,  
অবয়ব সাজিয়েছে ভয়ঙ্কর সুন্দরের
কালো কালো অগ্নিতিলকে" 

৮.  

 "কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে  
ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বৈশাখে  
বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে" 

৯. 

"ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন,  
আগামী মিছিলে এসো  
স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন"

১০. 

 "একবার আমন্ত্রণ পেলে 
সব কিছু ফেলে  
তোমার উদ্দেশে দেবো উজাড় উড়াল,  
অভয়ারণ্য হবে কথা দিলে,  
লোকালয়ে থাকবো না আর  
আমরণ পাখি হয়ে যাবো, 
খাবো মৌনতা তোমার"  

১১.

 "কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তি নয় , 
কোনো প্রাপ্তির দেয় না পূর্ণ তৃপ্ত,  
সব প্রাপ্তি ও তৃপ্তি লালন করে  
গোপনে গহীনে তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা"

১২.

" এখন তুমিই বলো নারী  
তোমার উদ্যান ছাড়া আমি আর কোথায় দাঁড়াবো।  
আমাকে দাঁড়াতে দাও বিশুদ্ধ পরিপূর্ণতায়,

১৩.

  "নারী তুমি আমার ভিতরে হও
 প্রবাহিত দুর্বিনীত নদীর মতন,  
মিলেমিশে একাকার হয়ে এসো বাঁচি " 

১৪. 

"এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়  
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় "

১৫. 

"আমি আর কতোটুকু পারি ?  
কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,  
আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়"

১৬.

 "প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।  
বেদনার করুণ কৈশোর থেকে 
তোমাকে সাজাবো বলে  
ভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরাম  
তুমি তার কিছু কি দেখেছো?

১৭.

 "মূলতই ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল"  

20.

 "অতো বেশ নিকটে এসো না, তুমি পুড়ে যাবে,  
কিছুটা আড়াল কিছু ব্যবধান থাকা খুব ভালো"

২১. 

"আজকাল অধঃপতনের দিকে সুপারসনিক গতি মানুষের  
সঙ্গত সীমানা ছেড়ে অদ্ভুত নগরে যেন হিজরতের প্রতিযোগিতা।  

২২. 

"দুই ইঞ্চি জায়গা হবে?  
বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের"

২৩.

 "আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে  
কিছু থাকে,  
হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই,  
মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না  
কিচ্ছু থাকে না"

 ২৪. 

"জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো  
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক"

২৫.
"কেউ ডাকেনি তবু এলাম,
 বলতে এলাম ভালোবাসি"

 ২৬.

 "ভালোবাসাবাসিহীন এই দিন সব নয়– শেষ নয়  
আরো দিন আছে"

২৭. 

"তোমার বুকে বুক রেখেছি বলেই আমি পবিত্র আজ  
তোমার জলে স্নান করেছি বলেই আমি বিশুদ্ধ আজ "

২৮.

 "আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে  
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর"

২৯.
"ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’  
মন না দিলে  
ছোবল দিও তুলে বিষের ফণা।"

  ৩০.

 "যদি যেতে চাও, যাও  
আমি পথ হবো চরণের তলে  
না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব  
ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে" 

৩১.

 "ইস্‌! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি,  
ক্ষমার রুমালে মুছে, সজীব ক্ষতেই  
এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই" 

৩২. 

"তুমি যার তার, যে কেউ তোমার,  
তোমাকে দিলাম না – ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার।"

৩৩.

 "আজন্ম মানুষ আমাকে পোড়াতে পোড়াতে কবি করে তুলেছে  
মানুষের কাছে এ অতো আমার এক ধরনের ঋণ" 

৩৪. 

"হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি  
নয় তো গিয়েছি হেরে,  
থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা  
কে কাকে গেলাম ছেড়ে"

৩৪. 

"যুক্তি যখন আবেগের কাছে অকাতরে পর্যুদস্ত হতে থাকে,  
কবি কিংবা যে কোনো আধুনিক মানুষের কাছে  
সেইটা বোধ করি সবচেয়ে বেশি সংকোচ আর সঙ্কটের সময়"

৩৫.

 "তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ "

হুমায়ুন আজাদ 

১. 

"একপাশে শূন্যতার খোলা, অন্যপাশে মৃত্যুর ঢাকনা"

  ২.

"তোমার দীর্ঘশ্বাসের নাম চন্ডীদাস , 
শতাব্দী কাঁপানো উল্লাসের নাম মধুসূদন,  
তোমার থরোথরো প্রেমের নাম রবীন্দ্রনা,  
বিজন অশ্রুবিন্দুর নাম জীবনানন্দ, 
তোমার বিদ্রোহের নাম নজরুল ইসলাম"  

৩.   

"সোনালী তারারা দেখতো কখনো যদি  
আমার কষ্টের অশ্রুজলের দাগ,  
তাহলে তাদের স্থান থেকে নেমে এসে , 
জানাতো আমাকে সান্ত্বনা ও অনুরাগ"

৪.

"একজন,শুধু একজন,জানে আমার কষ্ট কতো;  
আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছে যে  
ভাংগার জন্য-বারবার অবিরত"

৫.

"অজস্র জন্ম ধরে  
আমি তোমার দিকে আসছি  
কিন্তু পৌঁছুতে পারছি না।  
তোমার দিকে আসতে আসতে  
আমার এক একটা দীর্ঘ জীবন ক্ষয় হয়ে যায়  
পাঁচ পঁয়সার মোম বাতির মত"

"আমার প্রথম জন্মটা কেটে গিয়েছিলো  
শুধু তোমার স্বপ্ন দেখে দেখে,  
এক জন্ম আমি শুধু তোমার স্বপ্ন দেখেছি।  
আমার দুঃখ,  
তোমার স্বপ্ন দেখার জন্যে  
আমি মাত্র একটি জন্ম পেয়েছিলাম"

৭.

"আরেক জন্মে  
আমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরেছিলাম তোমার উদ্দেশ্য।  
পথে বেরিয়েই আমি পলি মাটির উপর আকাঁ দেখি  
তোমার পায়ের দাগ  
তার প্রতিটি রেখা  
আমাকে পাগল করে তোলে"  

৮.

"আমি গোলাপের সিঁড়ি বেয়ে তোমার দিকে উঠতে থাকি-  
উঁচুতে ! উঁচুতে !! আরো উঁচুতে !!!  
আর এক সময় ঝড়ে যাই চৈত্রের বাতাসে" 

৯.   

"ঐ অশ্রু বিন্দু পেরিয়ে এ জন্মে হয়তো  
আমি তোমার কাছে পৌঁছুতে পারবনা;  
তাহলে ,আগামী জন্ম গুলো আমি কার দিকে আসবো ?"  

১০.

"তুমি ভাঙতে পারো বুক 
শুষে নিতে পারো সব রক্ত ও লবণ  
বিষাক্ত করতে পারো ঘুম স্বপ্নময় ঘুমের জগত" 

১১.

" প্রিয়তমা, তুমি হাতখানি রাখো আমার গুমোট বুকে।  
শুনতে পাচ্ছো শব্দ? কে যেনো হাতুড়ি ঠুকে চলছে?"

 ১২.

"ওষ্ঠ বাড়িয়ে দাও গোলাপ ফোটাবো,  
বঙ্কিম গ্রীবা মেলো ঝরনা ছোটাবো।  
যুগল পাহাড়ে পাবো অমৃতের স্বাদ,  
জ্ব’লে যাবে দুই ঠোঁটে একজোড়া চাঁদ"

১৩.

"সুন্দরীর নৌকো ঢুকাবো বঙ্গোপসাগরে,  
অতলে ডুববো উত্তাল আশ্বিনের ঝড়ে,  
শিউলির বোঁটা থেকে চুষে নেবো রস"

১৪. 

"আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে, 
আমার খাদ্যে ছিল অন্যদের আঙুলের দাগ,  
আমার পানীয়তে ছিল অন্যদের জীবাণু"

১৫.

"আমার অশ্রু এবং কষ্টরাশি থেকে  
ফুটে উঠে ফুল থরে থরে অফুরান,  
এবং আমার দীর্ঘশ্বাসে  
বিকশিত হয় নাইটিংগেলের গান"

১৬.

"তোমার খবরের জন্য যে আমি খুব ব্যাকুল,  
তা নয়,তবে ঢাকা খুবই ছোট্ট শহর
কারো কষ্টের  
কথা এখানে চাপা থাকে না"

১৭.

"শুধু তোমার মুখের ছায়া  
কেঁপে উঠলে বুক জুড়ে.. রাতটা জেগেই কাটাই, বেশ লাগে,  
সম্ভবত বিশটির মতো সিগারেট বেশি খাই"

১৮ .

"আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো,  
ছোট ঘাসফুলের জন্যে  
একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে"

১৯. 

 "আমি হয়তো মারা যাবো কারো চোখের মণিতে  
গেঁথে থাকা একবিন্দু অশ্রুর জন্যে  
একফোঁটা রৌদ্রের জন্যে"

২০.  

"আমি সম্ভবতখুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো  
এক কণা জ্যোৎস্নার জন্যে  
এক টুকরো মেঘের জন্যে  
আমি হয়তো মারা যাবো টাওয়ারের একুশ তলায়  
হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজাপতির জন্যে"

২১. 

"আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো  
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে  
খুব ছোট দুঃখের জন্যে  
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে  
একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে  
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে"

 ২২.

"চ’লে যাবে,  
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা  
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের 
উপপত্নী হবে"

  ২৩.
"মরুঝড় অগ্ন্যুৎপাত, কাগজের মতো ছিঁড়ো
 ধাতু-লোহা-শব্জি-পুষ্পরে
অত্যন্ত ভেতরে জ্বলে বাক্যমালা- দাবানলে পোড়ে নরলোক"

২৪.

"তোমার দহনে ওষ্ঠ প্রেম শেখে, রক্তমাংস শেখে নর্মক্রিয়া– 
থাম ওঠে সভ্যতার; জন্ম নেয় ভারত, মিসর, সিন্ধু, মেসোপটেমিয়া" 

২৫.

"সেই কবে থেকে ডাকছি 
ডাকতে ডাকতে স্বরতন্ত্রি ছিঁড়ে বোবা হয়ে গেছি ব’লে 
তুমি শুনতে পাও নি" 

ধন্যবাদ সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। গুরুত্বপূর্ণ আরও আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। 

দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url