দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই চারটি আমল করুন

মাঝেমধ্যে আমাদের জীবনে সমস্যা এমন ভাবে আঁকড়ে ধরে যে আমরা হতাশা নিমজ্জিত হয়ে পড়ি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, কি করব বুঝতে পারি না। এই কঠিন মুহূর্তে নিম্নের আমল গুলো করলে ইনশাআল্লাহ সমস্যার আধার কেটে সম্ভাবনার সূর্য দিতে উদিত হবে।

দেয়ালে-পিঠ-থেকে-গেলে-এই-চারটি-আমল-করুন



মহান রাব্বুল আলামিন সূরা তালাকে তিন নম্বর আয়াতে বলেছেন"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা রাখে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।"আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এ পৃথিবীতে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি দেখতে চেয়েছেন কে আমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। জীবনে সমস্যা, বিপদ আসবেই। যখন হতাশা আপনাকে গ্রাস করবে, কোন আশার আলো দেখবেন না তখন নিম্নোক্ত আমল গুলো করবেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাকে রহমতে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দেবে ‌

 জীবনের কঠিন সময়ে এই চারটি আমল করুন

ইস্তেগফার 

আপনি যদি কোন বিপদে পড়েছেন। বিপদ থেকে পরিত্রাণে রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না।তাহলে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন। সব সময় পাঠ করতে থাকুন "আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ..."রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন পাঠ করতে পাঠ করতে থাকো আস্তাগফিরুল্লাহ, বসে আছেন পাঠ করুন আস্তাগফিরুল্লাহ, শুয়ে আছেন পাঠ করুন 'আস্তাফরুল্লাহ'। অর্থাৎ, ওয়াশরুম যাওয়া ব্যতীত সর্বদা আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। 

হাদিসে এসেছে,

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করে আল্লাহ তায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা করে দেন, তার সব পেরেশানী দূর করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।"

[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস, ১৫১৮] 

হাদিসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামকে বলতে শুনেছি, "আল্লাহর কসম! আমি প্রত্যহ আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার ও তাওবা করে থাকি।" [সহিহ বুখারি, হাদিস, ৬৩০৭]

 আল্লাহতালা আল কোরআনে বলেন,

"আর আল্লাহ এমন নন যে, তাদেরকে আজাব দেবেন এ অবস্থায় যে, তুমি তাদের মাঝে বিদ্যমান এবং আল্লাহ তাদেরকে আজাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।"

 [সুরা আনফাল : আয়াত ৩৩]

"আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে; সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।" [সুরা নিসা : আয়াত ১১০]

"হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও এরপর তার কাছে তওবা কর, তাহলে তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি পাঠাবেন এবং তোমাদের শক্তির সঙ্গে আরো শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে বিমুখ হয়ো না।" [সুরা হুদ : আয়াত]

আপনার চারিদিকে অন্ধকার, বিপদ থেকে উদ্ধারে আর কোন রাস্তা নেই। কি করবেন বুঝতে পারছেন না। ইস্তেগফারের আমল করুন। আল্লাহ এমন ভাবে আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন যে আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার

রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ করবেসে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায়তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।আর যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়েসে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায়-তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" [বুখারিহাদিস৬৩২৩]

সাইদুল ইস্তেগফাক:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْت

বাংলা উচ্চারণ:আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা। ওয়া আনা আলা আহদিকা। ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু। আউজু বিকা মিন শাররি মা-সানাআ’তু। আবুয়ু লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা। ওয়া আবুয়ু লাকা বি জাম্বি। ফাগফিরলি। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনবা ইল্লা আনতা।

বাংলা অর্থ:হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই; আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই গোলাম, আর আমি আছি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ওপর আমার সাধ্যমতো; আমি আপনার কাছে পানাহ ও আশ্রয় চাই আমার অনাসৃষ্টির অকল্যাণ এবং অপকার ও ক্ষতি হতে। আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি আপনার সব নিয়ামত, আরও স্বীকার করছি আপনার সমীপে আমার সকল অপরাধ; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন, আর অবশ্যই আপনি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নেই (সুনানে নাসায়ি ৫৫২১, বুখারি ও মুসলিম)।

দরুদ শরীফ পাঠ

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

দরুদ শরিফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, "নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তার নবীর (সা.) প্রতি দরুদ পাঠ করবে।" (তিরমিজী শরিফ)।

দরুদ শরীফ:

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى
 إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
 .. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্‌রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্‌তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর মাত্র একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করেন এবং কমপক্ষে তার ১০টি গুনাহ মাফ করেন। তার আমলনামায় ১০টি সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর মর্যাদা ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।’ (নাসায়ি)


لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালেমিন।

বাংলা অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র সুমহান। নিশ্চয়ই আমি জালিমদের দলর্ভুক্ত।

 

দোয়া ইউনুস পাঠ

দোয়া ইউনূসের ফজিলত অপরিসীম। কোন ব্যক্তি যদি কঠিন বিপদে পড়ে।বিপদের কালো মেঘে ঢেকে যায় তার শেষ আশা; তার এরকম অবস্থায় যদি সে দোয়া ইউনুস পাঠ করে ইনশাআল্লাহ বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাবে। এমনভাবে পরিত্রান পাবে সে কল্পনাও করতে পারবে না। 

নবী ইউনুস আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দোয়া পাঠ করায় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা উনাকে মাসের পেট থেকে রক্ষা করেছিলেন।। উনার নাম অনুসারে এই দোয়াটির নাম হয় দোয়া ইউনুস।দোয়া ইউনুস পাঠের মাধ্যমে সকল রকম কষ্ট, বেদনা, হতাশা বিপদ দূর হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্যায় পতিত হলে দোয়া ইউনুস পাঠ করতেন এবং উম্মাদের পাঠ করতে বলেছেন। দোয়া ইউনুস পাঠ করলে, রহমতের দরজা খুলে যায়।

হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন, আমি রাসুল সা.-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এই দোয়ার গ্রহণযোগ্যতা কি কেবল ইউনুস আ.-এর জন্যই প্রযোজ্য, না সব মুসলিমের জন্য? জবাবে প্রিয় নবী সা. বলেন, "তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য দোয়াটি বিশেষভাবে কবুল হলেও এটা সব মুসলিমের জন্য সবসময় কবুলের ব্যাপারে প্রযোজ্য। তুমি কি কোরআনে পাঠ করোনি, ‘ওয়া কাজালিকা নুনজিল মুমিনিন- আর এভাবেই আমি আল্লাহ মুমিনদের উদ্ধার করে থাকি।"

[তিরমিজি ৩৫০৫]


ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম 

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম 

অর্থ: হে মহামহীন ও মহানুভব।

আল কোরআনের সূরা আর রহমান এর ২৭ ও ৭৮ নম্বর আয়াতে ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম নামটি দুবার এসেছে। 

 নবীজি (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, "তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও" [তিরমিজি ৩৫২৫]

একবার হজরত আনাস (রা.) নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন ওইখানে এক লোক এসে নামাজ পড়ে এই দোয়া করল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’
 
রাসুল (সা.) বললেন, "তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ, যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন।"(তিরমিজি ৩৫৪৪)।

ইয়াজাল জাল জালালি ওয়াল ইকরাম বলা মানে হচ্ছে আল্লাহর কাছে নিবেদন করা। হে আল্লাহ আপনি মহামহীম, মহানুভব, প্রতাপশালী, একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী, অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব জাহানের অধিপতি আমি যে সমস্যা মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বা আমি যা চাচ্ছি তার সমাধান আপনার কাছে আছে আপনি আপনার ভান্ডার থেকে আমাকে তা দান করুন, আমাকে সম্মানিত করুন এই দোয়াটি হচ্ছে ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর সারমর্ম। 

শেষ কথা: 

আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহর কাছে অসম্ভব বলে কিছু নাই। অসম্ভব শব্দটা শুধু মানুষের জন্য। যে আল্লাহ ইউনুস নবীকে মাছের পেট থেকে রক্ষা করেছেন, যে আল্লাহ নীল নদের মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরি করে মূসা আলাইহি সালামকে রক্ষা করেছেন সে আল্লাহর কাছে আপনাকে আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করা তুচ্ছ একটা ব্যাপার। আল্লাহ যদি বলে 'হও' তাহলে সেটা হয়ে যায়। সুতরাং, কখনো হতাশ হবেন না, ভেঙে পড়বেন না। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখবেন ইনশাআল্লাহ আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url