রিজিক কমে যাওয়ার কারণ

 

রিজিক-কমে-যাওয়ার-কারণ

"হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয়ই আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন এবং যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন। কিন্তু,অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।"

[সূরা সাবা,৩৪:৩৬]

আজকে আমরা খুবই জীবন ঘনিষ্ঠ একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। মানুষের রিজিক কমে যাওয়ার রহস্য খুঁজে বের করতে চাই এবং রিজিক বৃদ্ধির কৌশল আয়ত্ত করতে চাই। 

রিজিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর এক অন্যতম নিয়ামত। তিনি আসমান ও জমিনের সর্বত্র মানুষের জন্য বিভিন্ন রিজিক ছড়িয়ে রেখেছেন এবং যার রিজিক যেখানে লিখে রেখেছেন তাকে সেই কাজের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়ার জন্য নিয়োজিত করেন। যার জন্য যত ইচ্ছা নিজেকে বরাদ্দ করে রেখেছেন। আমরা সকলেই এই বরাদ্দ রিজিকের জন্য সকাল- বিকাল পরিশ্রম করি। রাত-দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাটতে থাকি পাছে যেন এতোটুকু কম না পড়ে যায়। একটু যদি কম হয় তাহলে হাই-হতাশ করি দুশ্চিন্তায় মুচড়ে পড়ি হতাশায় ডুবে যায়।

অথচ,আমাদের প্রত্যেকের রিজিক সু নির্ধারিত। আমাদের কারো জন্য বেশি রিজেক্ট নির্ধারণ করা হয়েছে আবার কারো জন্য অল্প নির্ধারণ করা হয়েছে। যাই নির্ধারণ করা হয়েছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের কারো সেটা এক চুল পরিমাণ এদিক সেদিক করার কোন সুযোগ নেই।

রিযিক নির্ধারণের কারণ কি? 

আল্লাহতালা কাউকে কম রিযিক দেন এবং কাউকে বেশী রিজিক দেন। কারো জন্য বেশি আবার কারো জন্য কম রিজিক বরাদ্দ করেন। তবে ,সবটাই তিনি পরীক্ষা করার জন্য বরাদ্দ করেন। কাউকে বেশি রিজিক দিয়ে পরীক্ষা করেন আবার কাউকে কম দিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু,আমরা অনেকেই তা বুঝতে পারি না।
আর এ কারণে আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন""হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয়ই আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন এবং যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।"

[সূরা সাবা,৩৪:৩৬]

"মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন অথবা তাকে সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন তখন সে বলে যে আমার পালন করতে আমাকে সম্মানিত করেছেন। এবং যখন তাকে আল্লাহ পরীক্ষা করেন অথবা তাকে তার রিজিক সংকুচিত করে দেন। তখন সে বলে আমার পালনকর্তা আমাকে হেই করেছেন।"

[সূরা ফাজর:১৫-১৬]

মূল কথা হলো, আল্লাহ তাআলা কারো প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা কারণে তাকে বেশি পরিমাণে রিযিক দেন না। আবার কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে তাকে অল্প পরিমাণ রিজিক দেন না। যাকে বেশি পরিমাণে রিজিক দেন সেটা তার যোগ্যতা বা দক্ষতার কারণে দেন না এবং এতে তার বিশেষ কোন কল্যাণ নেই। যাকে অল্প পরিমাণ রিজিক দেন সেটা তার প্রতি বিদ্বেষের কারণে নয় এবং এতে তার তেমন কোনো ক্ষতিও নেই। উভয় শ্রেণিকে তিনি পরীক্ষা করার জন্যই কম বেশি রিজিক দান করেন। কিন্তু,আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে এ কাজটি বান্দাকে পরীক্ষা করার জন্য করেন, মানুষ নিজেদের হালাত,অজ্ঞতা,উদাসীনতার কারণে সেটা বুঝতে পারে না।

মক্কার মুশরিকরা ছিল ব্যবসায়ী। তাদের প্রচুর পরিমাণে ধন সম্পদ ছিল। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম কে লক্ষ্য করে বলতো নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের ভালোবাসেন এ কারণে তিনি আমাদের এত ধন সম্পদ দান করেছেন। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট থাকতেন তাহলে তিনি আমাদের এত ধন সম্পদ দান করতেন না। আসলে, কারুন ও একই কথা বলতো। নিজের বিপুল ধন সম্পদের কারণে অহংকার করে বলতো নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার প্রতি সন্তুষ্ট হওয়ার কারণে আমাকে এত ধন সম্পদ দান করেছেন। মুশরিকদের এসব কথা উত্তরে আল্লাহতালা বললেন "তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে না। তবে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা তাদের কর্মের বহুগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা নিরাপদে থাকবে। 

[সূরা সাবা:৩৭]

রিজিক কমে যাওয়ার কারণ: 

সূরা সাবা এর আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যই রিজিক বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন পরিমাণে দিয়েছেন। সুতরাং রিজিক কম বা বেশি হওয়ার কারণে মন খারাপের কোন প্রয়োজন নেই। 

কারণ যদি কম না বেশি হয় সাফল্যের মাপ কাঠি নয়। বরং সাফল্যে মাপকাঠি হল ঈমান ও সৎ আমল। আমাদের ঈমানের সাথে সাথে যদি সৎ আমল জারি থাকে তাহলে আমাদের নির্ধারিত রিজিকের ও যথা নিয়মে আসতে থাকবে।

পক্ষান্তরে আমরা যদি আল্লাহর প্রতি অনুগত না থাকি এবং আমাদের সৎ আমল যদি জারি না থাকে তাহলে আমাদের রিজিকও কমে যাবে। কেননা রিজিকের সাথে আল্লাহর আনুগত্য এবং সৎ আমল ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন"আর যদি জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমান ও জমিনের নিয়ামতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু ,তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং,আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করেছি।"

[সূরা আরাফ:৯৬]

রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন,"সৎকর্ম মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে এবং দোয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। আর মানুষ তার পাপ কাজের কারণে প্রাপ্ত রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।"[সুনানে ইবনে মাজাহ;৪০২২]

আরো পড়ুনঃ বরবাদ হতে না চাইলে এই সাতটি উপদেশ মেনে চলুন


প্রিয় পাঠক, সূরা আরাফের আয়াত এবং হাদিস থেকে এই কথা প্রমাণিত হয় যে রিজিক কমে যাওয়ার সাথে মৌলিকভাবে আল্লাহর সাথে নাফরমানি এবং গুনাহের কাজ জড়িত। অর্থাৎ, আল্লাহর নাফরমানি এবং গুনাহের কারণেই মূলত রিজিক কমে যায়।

এ কারণে,আলেমগণ রিজিক কমে যাওয়ার জন্য দায়ী গুনাহের কাজগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। তা আমরাও আপনাদের সামনে সেগুলোর মধ্য হতে বেশি দায়ী কাজগুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করব, ইনশাল্লাহ। 

১. কৃতজ্ঞতা আদায় না করা

আলোচনা শুরুতেই বলেছি রিজিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উন্নত নিয়ামত। তিনি আমাদের প্রতি রহম করে আমাদের কে রিজিক দিয়েছেন। তাই,আমাদের কর্তব্য হলো রিজিকের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। মানুষ যখন প্রাপ্ত নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে না তখন তার থেকে সে নিয়ামত নিয়ে নেওয়া হয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন"যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে,যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো তবে তোমাদেরকে আরো দেব আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।"

[সূরা ইব্রাহীম: ০৭]

উল্লেখিত আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় শুকরিয়া আদায় না করলে শাস্তি স্বরূপ মানুষ জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়। তার রিজিক  কমে যায়। ফলে, সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২. যাকাত না দেওয়া 

আলিমগণ বলেন-নিয়ামতের শুকরিয়া দুই প্রকার। এক হল অন্তরে কৃতজ্ঞতা অনুভব করা ও মুখে মুখে শুকরিয়া আদায় করা, আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি। তবে প্রকৃত শুকরিয়া হলো কাজকর্মে তা বাস্তবায়ন করা। সুতরাং, রিজিকের প্রকৃত শুকরিয়া হলো দান-সাদকা করা এবং নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার যাকাত আদায় করা। আল্লাহ তাআলা বলেন"তোমরা যা কিছু দান করো তিনি তার প্রতিদান দান করেন। তিনি উত্তম রিজিকদাতা"

[সূরা সাবা:৩৯]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,"যখন কোন জাতি যাকাত আদায় করা বন্ধ করে দেয়, আসমান থেকে তখন বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পৃথিবীর বুকে যদি কোন চতুষ্পদ জন্তু না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টি হত না।"[সুনানে ইবনে মাজাহ]

উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায়, সঠিকভাবে যাকাত আদায় না করলে রিজিকের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং এতে রিজিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. সুদের  কারবার ও হারাম উপার্জন

সম্পদ বাড়ানোর জন্য মানুষ উৎস সহ নানারকম হারামপন্থ অবলম্বন করে। অথচ,সুদের আদান-প্রদানে জীবিকার বরকত দূর হয়ে যায়। সুদ ও হারাম পন্থায় ব্যবসা বৃদ্ধি হয়, আপাত দৃষ্টিতে এমনটা মনে হলেও সুদের কারবারের দ্বারা বরকত নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,"আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং সাদকাকে বর্ধিত করে দেন। তিনি অবিশ্বাসী পাপী পছন্দ করেন না।"

[সূরা বাকারা:২৭৬]

সুতরাং,আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শুধু ও হারাম উপায়ে উপার্জন করলে রিজিকে বরকত কমে যায়।

৪. ক্রয় বিক্রয়ে প্রতারণা করা ও ধোঁকা দেওয়া 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,"ক্রেতা বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয় ততক্ষণ তাদের ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন করা বাতিল করার অধিকার থাকবে। বিক্রেতারা সত্য বলে এবং প্রকৃত অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয় বিক্রয় বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয় বিক্রয় বরকত মুছে ফেলা হবে"

[সহি বুখারী;১৯৪৯,সহীহ মুসলিম:১৫৩২]

সুতরাং, বুঝা গেল যে পন্যের দোষ ত্রুটি গোপন করে তা বিক্রি করা বা ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়ে কোন কিছু বিক্রি করার কারণে সম্পদে বরকত চলে যায় আর রিজিক কমে যায়। 

৫.প্রাপ্ত রিজিক ও তাকদিরে সন্তুষ্ট না থাকা 

আল্লাহতালা বান্দাদের জন্য রিযিক বন্টন করে থাকেন। মানুষ আল্লাহর প্রদত্ত রিজিকের উপর সন্তুষ্ট থাকলে তার জীবিকায় বরকত লাভ হয়। পক্ষান্তরে,ঐ রিজিকের উপর সন্তুষ্ট না হলে জীবিকার বরকত চলে যায়।
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,"আল্লাহ বান্দাকে প্রদত্ত জিনিসের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন। আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন তাতে যদি সে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে আল্লাহ তাতে বরকত দান করেন এবং তাকে বৃদ্ধি করে দেন। আর যদি সন্তুষ্ট না থাকে তাহলে তাকে বরকত দেন না।"[মুসনাদ আহমদ-২০২৭৯]

প্রিয় পাঠক, রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নিয়ামত। রিজিকের জন্য মানুষ পরিশ্রম করে। তবে,মানুষ একসময় ভালো ও পর্যাপ্ত নিজেকে ভোগ করলেও হঠাৎ কোনো এক অদৃশ্য কারণে কমে যেতে শুরু করে। কিন্তু, কেন মানুষের রিজিক কমে যায়? রিজিক কমে যাওয়ার কারনে মানুষ হতাশ হয় আর কারণ খুঁজে বেড়ায়। কোন কারণ খুঁজে পাই না কিন্তু,আল্লাহর নাফরমানি এবং গুনাহের কাজও ছাড়ে না। অন্যায় পথে কামাই রোজগার করাও বন্ধ করে না। অথচ, আল্লাহ অবাধ্যতা এবং হারাম পন্থা অবলম্বনের কারণে মানুষের রিজিক কমে যেতে থাকে। তাই, রিজিক কমে যাওয়ার ধারা বন্ধ করার জন্য আমাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমতা প্রার্থনা করতে হবে। তবেই,আল্লাহ রিজিকের বরকত দান করবেন।

রিজিক বৃদ্ধির উপায়

পবিত্র কুরআন আল্লাহ তাআলা বলেন,"অতঃপর আমি বলেছি তোমরা তোমাদের পালন কর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। যদি তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো তিনি তোমাদের উপর অজস্র ধারাই বৃষ্টিধারা বর্ষণ করবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।" [সূরা নূহ:১০-১২]

এই আয়াত তিনটির মাধ্যমে ক্ষমাপ্রার্থনার দ্বারা ছয়টি নিয়ামত দান করার কথা আল্লাহ বলেছেন:
প্রথমত, গুনাহ মাফ করবেন
দ্বিতীয়ত, উত্তম রিজিকের জন্য বরকতের বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।
তৃতীয়ত, ধন সম্পদ দান করবেন।
চতুর্থ, নিঃসন্তান ব্যক্তিকে সন্তান সন্ততি দান করবেন।
পঞ্চম, ফলে-ফসলে ভরা সবুজ উদ্যান দান করবেন।
ষষ্ঠ, উপকারী নদী নালা প্রবাহিত করে দেবেন।

প্রিয় পাঠক, রিজিক মানে শুধুমাত্র ধন সম্পদ নয়। বরং নেক সন্তান ও অন্যতম রিজিক। আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ইস্তেগফারের ফলে সন্তান-সন্ততি, বাহ্যিক ধন সম্পদ এবং ধন সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক সকল উপকরণর দান করার ওয়াদা করেছেন।


শেষ কিছু কথা: 

অতএব, আমাদের উচিত হলো আল্লাহর নিকট ইস্তেগফারের মাধ্যমে রিজিক কমে যাওয়ার ধারা বন্ধ করা এবং রিজিক বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্য করা, মুখে অন্তরে ও বাস্তবে শুকরিয়া আদায় করা,হারাম পন্থা বর্জন করা এবং তাওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে রিজিকে বরকত লাভের তৌফিক দান করুন, আমীন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url